I Love

You

Chumky

ILoveYouChumky.INFO

Email:farhanrahman1704@gmail.com

The night of our story being left unsaid

shape
shape
project

তো সেদিনের পর থেকে আমাদের প্রতিনিয়ত কথা হতে থাকে, কিন্তু শুধু রাতে, কেননা ওর বাবা-মা & ভাইয়া ছিল খুবই রাগী। তো যাই হোক, আমরা যতটুকু কথা বলতে পারতাম তাতেই খুশি ছিলাম।

তো একদিনের কথা আমার অনেক মনে পড়ে, যেদিন আমি ওকে প্রপোজ করলাম। সেদিন ওর সঙ্গে আমি কলে কথা বলছিলাম, তবে আমি কথা বলতে পারছিলাম না কারণ আমার পাশে মা ছিল। তাই ও কথা বলছিলো, আমি মিউটে ছিলাম আর ও কথা বলছিলো, আমি ওকে টেক্সটে লিখছিলাম অনেক কথা।

তার মধ্যে হঠাৎ আমি ওকে বলি — “আমি তোমাকে প্রপোজ করতে চাই।” ওর রিঅ্যাকশনটা অন্যরকম ছিল। আমি ওর রিঅ্যাকশন দেখেই বলে দিলাম, “মজা করছি।” তো ও বললো, “ওহ আচ্ছা, মজা করছো।”

তার একটু পরেই আমি ডাইরেক্ট বলে দিলাম — “আই লাভ ইউ।” ও তো শুনে পুরো অবাক! হাসতে হাসতে বলছিলো — “যেহেতু তুমি মজা করে বলছো, আমি ও মজা করেই বলি — আই লাভ ইউ টু।”

আমি তো পুরো আকাশ-প্রান্তে উড়ে গেছি! তারপর রাতে অনেক অনেক বেশি কথা বললাম। তারপর মনে হয় ওকে ঘুমানোর জন্য জোর করলাম, তারপর ও এবং আমি — দুজনেই ঘুমিয়ে গেলাম।

ঘুমের কথা মনে করে একটা কথা মনে পড়ে গেলো। আমি আগে যখন বলতাম — "তোমার ঘুমানোর প্রয়োজন, ঘুমাও তুমি", ও বলতো — "আমি ঘুমালে তোমারও ঘুমাতে হবে।" আমি বলতাম — "কেন?" ও বলতো — "আমি বলছি তাই।" উফফ, কত সুন্দর ছিল সেই দিনগুলো…

তো এর মধ্যে অনেক মজার মজার কাহিনী হলো। আমাদের ভালোবাসা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে আমরা সারা রাত কথা বলতে শুরু করলাম।

সময়টা ছিল রমজান মাস। আমরা রাতে ঘুমাতাম না, একসঙ্গে সেহেরি করতাম। তবে আমার একটু ঝামেলা হতো — আমি প্রায়ই ঘুমিয়ে যেতাম সেহেরির পর, যেখানে কিনা আমি বলতাম, “সেহেরির পর আবার কল দিবো।” যখন ঘুমিয়ে যেতাম, ও অনেক মেসেজ দিতো। তবে আমি ঘুমে থাকতাম… ও অনেক কষ্ট পেতো, রাগও করতো। অনেক ‘Sorry’ বলার পর আবার সব ঠিক হয়ে যেত।

তারপর তো একদিন এমনও হলো — আমি ঘুমিয়ে গেছি, ও সকালে বলে — “আর কল এ কথা বলবো না, তুমি ঘুমিয়ে যাও তাই।”

আমি বললাম — “যেমনেই হোক, এখন থেকে আর ঘুমাবো না।” সেদিন আমি জান্ডুবাম বা মাথা ব্যথার মলম চোখে লাগিয়ে দিছি, যাতে করে ঘুম না আসে।

যেমন কথা, তেমন কাজ — সেদিন আমি ঘুমাইনি। সারা রাত জেগে রইলাম। সকালে আমার দম বন্ধ লাগছিলো — না ঘুমিয়ে। সকালে আমি কি করলাম জানো? ওকে বললাম — “একটু বাহিরে যাওয়া যাক।” তখন বোধহয় সকাল ৬টা।

আমি বাসা থেকে নেমে রাস্তা দিয়ে হাঁটতে শুরু করে দিলাম, হাঁটতে হাঁটতে ওর বাসার নিচে চলে গেলাম। তবে ও আমাকে দেখায়নি যে, এটাই ওর বাসা। তো যাই হোক, সেদিন অনেক হাহুতাশ করলাম।

তবে সেদিন আমার একটু করে মন খারাপ হয়েছিল। আমি একটা ফুটওভার ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে ছিলাম, আমার ভিডিও কল দেওয়া ছিল — ব্যাক ক্যামেরা অন ছিল।

তো হঠাৎ ও বললো — “দেখো নিচে, হয়তো ওই গাড়িটা আমার বেস্ট ফ্রেন্ড এর।” আমি বললাম — “তো এখন আমি কি করবো?” তো ও আমায় বললো — “গিয়ে দেখো।” তো আমি তারপর যেন কি বললাম… তবে আমার কেন যেন একটু খারাপ লাগলো, যাক — ওকে বুঝতে দিইনি।

আচ্ছা একটা কথা বলি — আমি খুব সাধারণ বিষয়েও অনেক তারাতারি কষ্ট পেয়ে যাই। তবে আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি তা কাউকে বোঝতে দিই না।

তো যাই হোক, সেদিন তার পর আবার বাসায় ফিরলাম। ওকে ঘুমাতে বললাম, ওও ঘুমালো, আমিও ঘুমালাম।

আমাদের দিনগুলো এভাবেই সুন্দরভাবে যাচ্ছিলো…