The creation of love on Her

একদিন হঠাৎ সে বলল, “গেম খেলবে?” আমি একটু অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করলাম, “কি গেম?”
সে হেসে বলল, “মাইনক্রাফট।”
আমি তো শকড! বললাম, “তুমি মাইনক্রাফট খেলো?”
সে বলল, “না, এখনো না... কিন্তু খেলবো ভাবছি।”
আমি জিজ্ঞেস করলাম, “একাউন্ট আছে?”
সে বলল, “সে মাথা নাড়ল, না তো, কিনতে হবে।”
আমি বললাম, “না, লাগবে না। আমি দিচ্ছি।”
সে বলল, “তোমার দেয়া লাগবে না। তুমি কেন নিজের টাকা নষ্ট করবে?”
অনেক বুঝিয়ে, একরকম জোর করেই একাউন্টটা দিলাম।

ডাউনলোড শেষে আমি জিজ্ঞেস করলাম, “তুমি খেলতে পারো?”
সে হাসল, “না তো, কিছুই পারি না। তুমি শিখিয়ে দিও।”
আমি বললাম, “ওকে, কিন্তু চ্যাটে শেখানো কষ্টকর।”
দুজনে ভাবলাম... শেষ পর্যন্ত কল দেওয়ার কথা উঠল।
সে রাজি হলো।

সেই রাতে বলল, “চলো খেলি, কিন্তু কল কোথায় দিবো?”
আমি আমার ডিসকোর্ড আইডি দিলাম।
কল দিলাম, সালাম দিলাম... মনে নেই সেদিন সে কিছু বলেছিল কি না।
আমি একাই অনেক বকবক করছিলাম, আর সে শুধু চ্যাট করছিল।
একসময় মনে হচ্ছিল আমি খুব বাচাল!

গেম শেষে বললাম, “আমি আর কল দিবো না। একা একা বলা ভালো লাগে না।”
সে বলল, “আমার তো ভালো লাগে শুনতে।”
আমি বললাম, “আপনার ভালো লাগলে কি হবে, আমার তো বোরিং লাগে একা কথা বলতে।”

সে বলল, “আচ্ছা, আমি কালকে কথা বলবো।”
এই কথা শুনে আমি এতটাই খুশি হয়েছিলাম... যেন আকাশের চাঁদ আমার হয়ে গেছে!

পরের দিন, ঠিক সময়মতো কল দেওয়ার কথা বলল।
আমি বললাম, “তুমি দাও।”
সে বলল, “আমি কাউকে কল দেই না।”
এই কথায় একটু অন্যরকম অনুভব হলো... তবুও আমি দিলাম।

প্রথমে চুপচাপ... তারপর বললাম, “তুমি কথা না বললে আমি বলবো না।”
অবশেষে শুরু হলো আমাদের কথা...
তার হাসি শুনে মনে হলো, আমি যেন কোনো মিষ্টি সুবাসে ভেসে যাচ্ছি।

সেদিন অনেক মজা করলাম।
গেম শেষে ধন্যবাদ দিলাম।

এভাবেই ছিল আমাদের প্রথম কথা বলা।